❤❤ উট, বালি, কেল্লা আর ইতিহাসের সাক্ষী হতে – রাজস্থান ভ্রমণ ❤❤
আমরা বাঙালিরা একটু বেশি মাত্রায় আবেগপ্রবণ হওয়ার কারণেই হয়তো বার বার রূপ কথার জগতে ফিরে যাই। কখনো অবনীন্দ্রনাথের “রাজকাহিনী” বা সত্যজিতের “সোনার কেল্লা” বার বার বাঙালি পর্যটকদের টেনে নিয়ে গেছে উট, বালি আর কেল্লা র স্বপ্নের রাজ্য রাজস্থান এ। রাজস্থান, রাজপুত রাজাদের ভূমি। ভারতের অন্যতম পৌত্তলিক ও রাজকীয় রাজ্য হিসেবে পরিচিত। মরুভূমি, সেখানকার সংস্কৃতি, বিশেষ করে জিভে জল আনা রাজস্থানী খাবার পর্যটকদের আকর্ষণের কারণ হয়ে উঠেছে বার বার।
এই শীতে “পরিযায়ী মন ট্রাভেল ক্লাব” এর ব্যবস্থাপনায় আমরা যাচ্ছি আরও একবার মরু রাজ্যের বীরত্বের ইতিহাসের সাক্ষী হতে, রাজস্থান ভ্রমণে।
যাত্রা শুরু :— ২২ শে অক্টোবর ২০২৫ এবং ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৫
ঘরে ফেরা :— ০৫ ই নভেম্বর ২০২৫ এবং ০৭ ই জানুয়ারী, ২০২৬
প্রথম দিন :- রাতের খাওয়ার সেরে, রাত ১১.২৫ মিনিটে, ২২৩০৭ হাওড়া বিকানের এক্সপ্রেসে আমরা যাত্রা শুরু করবো ১৮৮২ কিলোমিটার দূরে মরু শহর বিকানেরের উদ্দেশ্যে।
দ্বিতীয় দিন :- দুর্গাপুর, আসানসোল, ধানবাদ, গয়া, মুঘলসরাই, কানপুর, আগ্রা, ভরতপুর এবং জয়পুর হয়ে এগিয়ে চলবে ট্রেন। এই ট্রেন সফরেই আমরা এক এ অন্যের সাথে পরিচিত হয়ে উঠবো। গান, আড্ডায় জমে উঠবে ট্রেন সফর।
তৃতীয় দিন :- ভোরের আলো ফুটতেই আপনার ঘুম ভাঙবে “চা য় – গরম চা য় ” আওয়াজে। ঠিক ০৬.২৫ মিনিটে আমরা পৌঁছবো রাজস্থানের বনেদি শহর বিকানের এ। সূর্য্যের প্রথম আলো যখন গিয়ে পড়বে শতাব্দী প্রাচীন জাট বা রাওয়াত হাভেলি গুলোর ঝরিকায়, সারা শহরটা যেন গাওয়া ঘি র নামকীন, ভুজিয়া বা সামোসা র গন্ধে ভোরে উঠবে। হোটেলে এ পৌঁছে ফ্রেস হয়েই প্রাতরাশ সেরে আমরা বেরিয়ে পড়বো শহর দর্শনে। এক এ এক এ দেখে নেবো জুনাগড় ফোর্ট, সুরসাগর লেক, লালগড় প্রাসাদ, এবং ক্যামেল রিসার্চ সেন্টার। বিকেলে আমরা নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী খেয়ে দেখতে পারি রাজস্থানি কচুরি ছোলে আর কেশর কুলফি। রাত্রিবাস বিকানের এ।
চতুর্থ দিন :- ভোরে উঠে আমরা ঘুরে আসবো করণিমাতা মন্দির। ফিরে সকাল সকাল প্রাতরাশ সেরে আমরা রওনা দেব ২১৯ কিলোমিটার দূরে পোখরান। এখানেই ভারতের পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চলেছিল। পুরো অঞ্চল টা সামরিক অঞ্চল ফলে দূর থেকেই দেখে বুঝে নিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো আরও ১১৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ফেলু দা র গল্পের “সোনার কেল্লা” দেখতে, মরুশহর জয়সালমের। জয়সালমের পৌঁছে হোটেলে ফ্রেশ হয়ে পায়ে হেঁটে ঘুরে নেবো কেল্লার ভেতর অবস্থিত শহরের প্রধান বাজার এ।
পঞ্চম দিন :- প্রাতরাশ সেরে আমরা বেরিয়ে পড়বো জয়সালমের ভ্রমণে। দেখে নেবো জয়গর ফোর্ট বা বিখ্যাত সোনার কেল্লা, যাতে আছে মোট ৯৯ টি বুরুজ। কেল্লার ভেতরের কারুকার্য্যে নিপুন জৈন মন্দির, পাতোয়া – কি – হাভেলি এবং গাডিসার লেক। (সময় সমন্ধে সচেতন না হলে সব ঘুরে দেখা সম্ভব হবে না)। বাস থেকে কেল্লার মেন পার্কিং এ নেমে দুর্গ এবং পাতোয়া – কি – হাভেলি পায়েই ঘুরে দেখতে হবে। চাইলে গাইড ভাড়া করতে পারেন নিজেদের খরচে।
দুপুরে ফিরে আহারাদি সম্পন্ন করে আমরা চলে যাবো ৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত থর মরুভূমির স্যাম ডিউন্স দেখতে। এ এক অন্যন্য অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকতে পারবেন সকলে। হাওয়ার দিক এবং গতি অনুযায়ী তৈরী হওয়া সাদা বালির পাহাড় গুলোর পেছনে সূর্য্য অস্ত যাওয়ার আগে উটের সাফারির মজা নিন। সূর্যাস্তের বিরল এবং অপরূপ শোভা দেখার পর আমরা মেতে উঠবো স্থানীয় শিল্পীদের দ্বারা পরিবেশিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে। সেদিন রাতের মেনুতে থাকবে স্থানীয় রাজস্থানি সব লোভনীয় খাবার (অতিরিক্ত খরচ ৫০০ টাকা প্রতিজন। তবে আপনি চাইলে আমাদের তৈরী খাবার ও খেতে পারেন)। এখানেই শেষ নয়, সেদিন আপনাদের থাকার ব্যবস্থা আমরা করবো একেবারে মরুভূমির মাঝখানে ডিলাক্স তাবুতে।
ষষ্ঠ দিন :- সকাল সকাল প্রাতরাশ সেরেই আমরা রওনা দেব ২৮৫ কিলোমিটার দূরের নীল রঙের মরুশহর যোধপুরের উদ্দেশ্যে। হোটেলে পৌঁছে প্রথমেই ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে পড়লাম সারাদিনের জন্য। প্রথম গন্তব্য শহর থেকে ৫ কিমি দূরে ১২১ মি উঁচু গোদাগিরি পাহাড় অবস্থিত মেহেরণগড় দুর্গ। ১৪৫৯ খ্রিস্টাব্দে রাও যোধা দুর্গটি নির্মাণ করেন। কোথাও গোল কোথাওবা চারকোনা গম্বুজ রয়েছে দুর্গ প্রাচীরের গায়ে। প্রাসাদ, সৈন্যাবাস, মন্দির, ঘরবাড়ি নিয়ে একসময় জমজমাট এই দুর্গ মুঘলদের কাছেও অজেয় ছিল।
⭐যদি সময় পাওয়া যায় তবেই উমেদ ভবন প্যালেস বাইরে থেকে দেখে নেব, নইলে পরেরদিন সোজা মাউন্ট আবু বেরিয়ে যাওয়া হবে।
সপ্তম দিন :- এদিন প্রাতরাশের পর পরবর্তী গন্তব্য ২৬৫ কিলোমিটার দূরের পাহাড়ি শহর মাউন্ট আবু। বিকেলে পৌঁছে পায়ে হেঁটে ঘুরে নেব নাক্কি লেক।
অষ্টম দিন :- প্রাতরাশের পর আমাদের গন্তব্য শহর থেকে ৪ কিমি দূরে রাজস্থানের অত্রি ঋষির মন্দির। মনোরম পরিবেশে ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বরের মন্দির। তিনশ সিঁড়ি ভেঙ্গে পৌঁছতে পারেন অত্রি ঋষির মন্দিরে। মন্দির থেকে নেমে ফুলবাগানে সাজানো ব্রহ্মকুমারীদের শান্তিবন বা পিসপার্কে ঘুরে নিন। এবারে আমাদের গন্তব্য বিশ্ববিখ্যাত দিলওয়ারা বা দেলওয়াড়া মন্দির। মোট পাঁচটি মন্দির – আদিনাথ, নেমিনাথ, মহাবীর, ঋষভদেব ও পার্শ্বনাথ। শ্বেত পাথরের ওপর অনবদ্য সূক্ষ্ম কারুকাজ। এদিনের শেষ গন্তব্য আরাবল্লী পাহাড়ে সানসেট পয়েন্ট। পাহাড়ের গায়ে সূর্যাস্ত দেখার জন্য ঘেরা জায়গায় বেশ কিছু বসার আসন আছে। ওপারেই গভীর খাদ। ঠিক সূর্যাস্তের মুহূর্তে মনে হল আকাশ থেকে সূর্য বুঝি টুপ করে খসে পড়ল। এই নৈসর্গিক শোভা অপরূপ। সন্ধ্যেবেলায় নক্কি লেকের আশপাশে ঘুরে বেড়ান। এখানকার সূর্যাস্তের অপরূপ শোভা আপনাকে মুগ্ধ করবেই।
⭐গাড়ী সানসেট পয়েন্ট অবধি যাবে না, কাছাকাছি জায়গায় (১ কিলমিটার আগে) নামিয়ে দেওয়া হবে, যারা যেতে চান তারা নিজেরা ঘুরে নিজেদের মতন হোটেলে ফেরত চলে আসতে হবে। সবটাই হাঁটা পথ, চাইলে ঠেলা গাড়ী পাবেন।
নবম দিন :- এদিন সকালে প্রাতরাশের পর রওনা হয়ে হলদিঘটি পৌঁছবো। এই হলদিঘটির যুদ্ধেই বীর বিক্রমে লড়াই করেছিলেন মহারানা প্রতাপ। পরে ১৬৫ কিলোমিটার দূরের শহর উদয়পুর পৌঁছবো প্রায় দুপুর ৩ টায়। মহারানা উদয় সিং, যিনি সূর্যবংশীয় রামচন্দ্রের উত্তরপুরুষ বলে পরিচিত, ১৫৬৯ খ্রিস্টাব্দে আরাবল্লী পাহাড়ের ঢালে, পিছোলা লেকের পাড়ে ৫৭৭ মি উচ্চতায় এই শহর গড়ে তোলেন। একে ভেনিস অফ দ্য ইস্ট-ও বলা হয়। মনোহর হ্রদ, মর্মর প্রাসাদ, সুসজ্জিত উদ্যান আর প্রাচীন মন্দির নিয়ে উদয়পুর শহর। এখানে প্রাসাদ আছে মোট পাঁচটি – সিটি প্যালেস, জগনিবাস, জগমন্দির, লক্ষ্মীবিলাস ও মনসুন প্যালেস। প্রতিটি প্রাসাদের নির্মাণশৈলী ও অলঙ্করণ ভিন্ন ভিন্ন। কিন্তু আমরা ঘুরে দেখে নেবো সিটি প্যালেসে। এটি রাজস্থানের বৃহত্তম রাজপ্রাসাদ ও মহারাণার শীতকালীন আবাস।
প্রাসাদের এক অংশে সরকারি মিউজিয়াম। আরেক অংশে হোটেল। অন্য এক অংশে রাজপরিবারের বংশধরেরা বসবাস করেন। প্রাসাদের গায়েই ১৪ শতকে তৈরি ১০ বর্গ কিমি জুড়ে পিছোলা লেক। চারদিকে পাহাড় ঘেরা, জল আসছে ১৬০ কিমি দূর থেকে। জলাশয়ের মাঝে মাঝে দ্বীপ, দ্বীপের মাঝে প্রাসাদ আর মন্দির। একদিকে সুন্দর বাগান আর অন্যদিকে ঘাটের পর ঘাট। লেকে বোটিং-এর ব্যবস্থাও আছে।
দশম দিন :- পরেরদিন সকাল দশটা নাগাদ জলখাবার খেয়ে বেরিয়ে পড়বো
ফতেহ সাগরের পাড়ে, চারটি পদ্মপুকুরের মাঝে ফোয়ারা দিয়ে সাজানো অভিনব বাগিচা সহেলিয়াঁদের বাড়ি। বাগিচার মধ্যস্থলে রয়েছে কালো পাথরের সূক্ষ্ম কারুকার্যমন্ডিত ছত্রি। এই ছত্রিগুলি রাজস্থানী স্থাপত্যের অন্যতম সুন্দর নমুনা।
একাদশ দিন :- এইদিন সকালে প্রথম রওনা হব চিতোরের উদ্দেশ্যে। দুপুর ১২টা নাগাদ চিতোর পৌঁছবো। এই সেই ঐতিহাসিক দুর্গ – রানি পদ্মিনীর রূপে আকৃষ্ট হয়ে চিতোর আক্রমণ করে ধ্বংস করেন আলাউদ্দিন খিলজি। আর রানি পদ্মিনী সম্মান বাঁচানোর জন্য দুর্গের সব নারীদের নিয়ে জহর ব্রত পালন করে অগ্নিতে আত্মাহুতি দেন।
এই শহরের হাওয়ায় শোনা যায় –
“গড় তো চিতোরগড়, ঔর সব গড়ৈয়া,
রানি তো রানি পদ্মিনী, ঔর সব গধৈঁয়া।”
সে তর্ক বা আলোচনায় যাব না, বরং আমরা চিতোরগড় দেখবো। ১৫০ মি উঁচু এক পাহাড়চূড়ায় ৭০০ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত প্রাচীন এই দুর্গ ১৩ কিমি দীর্ঘ প্রাকারে ঘেরা। দুর্গে মোট সাতটি পোল বা ফটক আছে। খুব অল্প সময় এখানে কাটিয়ে আমরা রওনা দেব পুস্কর যেখানে আপনি পাবেন এই দেশের একমাত্র ব্রহ্মা মন্দির। এদিন পুষ্কর পৌঁছে আমরা সেদিনের মতন যাত্রা শেষ করবো।
দ্বাদশ দিন :- পরদিন সকালে উঠে বেরিয়ে পড়বো ১৫০ কিলোমিটার দূরের জয়পুরের উদ্দেশ্যে। পথে ঘুরে নেবো আজমের শহরের পবিত্র মঈনউদ্দিন চিস্তী র দরগা। এটা হতেও পারে যে এই দরগা তে আপনি কোনো বলিউডের চিত্র তারকা কে দেখেও নিতে পারেন, কারণ প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো তারকা এখানে আসেন চাদর চড়াতে। জয়পুর পৌঁছে আমরা সেদিন ঘুরে নেবো যন্তর মন্তর, সিটি প্যালেস আর হাওয়া মহল। রাত্রিবাস জয়পুরে।
ত্রয়োদশ দিন :- পরদিন সকালে উঠে বেরিয়ে পড়বো সারাদিনের জন্য জয়পুর ঘুরতে। প্রথম গন্তব্য অম্বর প্যালেস। এই প্রাসাদও রাজপুত স্থাপত্যের এক অপূর্ব নিদর্শন। পরবর্তী গন্তব্য নাহারগড় বা সুন্দরগড় দুর্গ বা টাইগার ফোর্ট। শহরের ৬.৫ কিমি উ-পূবে ১৮০০ মি উঁচু পাহাড়ের মাথায় ১৭৩৪ সালে রাজা জয়সিং-এর তৈরি দুর্গ। একে শহরের প্রহরীও বলা হয়। এর দুটি তলা মাটির নীচে। ৩ টে দুর্গ দেখতেই গাড়ী যাবে অম্বর প্যালেসের পার্কিংয়ে। দুপুরের খাওয়ার জন্য ফেরার পথে চোখে পড়বে জলমহল। ১৭৯৯ সালে মানসাগর হ্রদের মাঝখানে পাঁচতলা এই গ্রীষ্মাবাসটির নির্মাণ করান রাণা প্রতাপ সিং। বর্তমানে এটি একটি বিলাসবহুল হোটেল। বিকেলটা থাকবে নিজেদের মতন মার্কেটিং করার জন্য। আপনারা চাইলে নিজেদের খরচে অটো করে ঘুরে নিতে পারেন বিড়লা মন্দির (ভেতরে ঢুকে) এবং আলবার্ট হল (বাইরে থেকে)। জয়পুরে বিখ্যাত রাওয়াত মিষ্টান্ন ভান্ডারের ডাল বাটী চূড়মা বা হিঙের কচুরি সহ জিলিপি খেতে ভুলবেন না কিন্তু।
চতুর্দশ দিন :- শেষদিন সকালটা থাকবে আপনাদের নিজের মতন কাটানোর জন্য। নিজেদের মতন করে বেরিয়ে পড়ুন কেনাকাটা করতে। দুপুর ১২ টায় চেক আউট করে আমরা নিজেদের মতন স্টেশনে পৌঁছে দুপুর ১৪.৪০ টায় ১২৯৮৮ ALL SDAH EXP ধরে রওনা দেব বাড়ির উদেশ্যে। (অন্য কোন ট্রেনেও টিকিট কাটা হতে পারে)।
⭐ পরিস্থিতি এবং প্রয়োজন অনুযায়ী আমরা বিকল্প রুটে জয়পুর থেকে দিল্লি হয়েও ফিরতে পারি।
পঞ্চদশ দিন :- এইদিন দুপুর ১৫.৫০ এ শিয়ালদা পৌঁছে আমরা ফিরে যাবো এক অসামান্য অভিজ্ঞতা কে সাথে নিয়ে।
ট্যুরের খরচ :-
——————-
ডবল শেয়ারিং – ২৪,০০০ টাকা প্রতিজন
ট্রিপল শেয়ারিং – ২৩,০০০ টাকা প্রতিজন
৫ বছর অবধি বাচ্ছাদের ফ্রী |
৫ থেকে ৯ বছর অবধি ১৪,০০০
টাকা |
(ট্রেনে এবং গাড়ীতে সিট সমেত)
# বুকিং র সময় অগ্রিম ৭০০০ টাকা
প্রতিজন দিতে হবে। নভেম্বরের ১০ তারিখের মধ্যে আরো ৫০০০ টাকা
দিতে হবে। বাকি টাকা প্রথম দিন হোটেলে
পৌঁছে দেবেন।
কি কি পাবেন :—
১) স্লিপার ট্রেনের টিকিট ৷ এসির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা আপনাকেই দিতে হবে ৷
২) সমস্ত ডিলাক্স ক্যাটাগরির হোটেল এবং পরিবার অনুযায়ী ঘর ৷
৩) বিকানের পৌছনোর পর থেকে বাঙালি খাবার ৷ সকালে চা ও জলখাবার, বিকালে চা ও টিফিন (যেদিন হোটেলে থাকা হবে) ৷ দুপুর রাত মাছ, মাংস,ডিম, ডাল,তরকারী সহ ভাত ৷ নিরামিশ পদ চাইলে পাবেন ৷
৪) থর মরুভূমির স্যাম ডিউন্স এ এক রাত ডিলাক্স তাঁবুতে রাত্রিবাস।
৫) সমস্ত উল্লেখ করা দ্রষ্টব্য স্থানে প্রাইভেট এ সি কোচে ট্যুরের ব্যবস্থা। তবে সময়ের সদ্ব্যবহারের ওপর নির্ভর করছে আপনি সবটা ঘুরে দেখতে পারবেন কি না।
৬) সবচাইতে মূল্যবান জিনিস যেটা পাবেন সেটা হল, আমাদের অভিজ্ঞতা, বিশ্বাস আর ব্যবহার৷
কি কি পাবেন না:—
১) মিনারেল ওয়াটার
২) কুলির খরচ
৩) ট্রেনের খাবার
৪) দর্শনীয় স্থানের এণ্ট্রি ফী ও ক্যামেরা চার্জ
৫) হাতি বা উটে চাপার খরচ সাথে ক্যামেল সাফারি, জিপ সাফারি বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের খরচ।
৬) স্যাম ডিউন্স এ রাজস্থানি আহার।
৭) আর যেটা একদমই পাবেন না সেটা হল চিটিংবাজি ৷
Recent Posts
Explore the Surreal Beauty of Lahaul & Spiti with “Porijayee Mon”
নীলাচল – পুরী
❤❤ উট, বালি, কেল্লা আর ইতিহাসের সাক্ষী হতে – রাজস্থান ভ্রমণ ❤❤
All Categories
Thailand