নীলাচল – পুরী 

বাঙালি পর্যটকের অতি প্রিয় “দীপুদা”র মধ্যমনি “পুরী” জায়গাটার সাথে যেন বাঙালি আবেগসূত্রে জড়িয়ে আছে সেই কবে থেকে। লোকে বলে সমুদ্রের গর্জন নাকি বাঙালির কানে না পৌঁছলে পুরী ভ্রমণ হয়না। আবার ভগবান বিশ্বাসীরা বলেন, প্রভু শ্রী জগন্নাথ দেব না ডাকলে নাকি পুরী যাওয়া হয়না। আমার “পরিযায়ী মন” বলে, আনন্দ, দুঃখ, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত, বসন্ত – যখনই পায়ের নীচে সর্ষে অনুভব করি, আমি পুরী যাই।

পুরী মানেই রাতের ট্রেনে হইহট্টগোল, পুরী মানেই একসাথে বন্ধুদের যাত্রা, পুরী মানেই স্বল্প খরচে অনেক আনন্দ, পুরী মানেই জগন্নাথ মন্দির, পুরী মানেই নীল সমুদ্র, পুরী মানেই ভোরে উঠে সূর্যোদয়, পুরী মানেই প্রচুর মাছ খাওয়া, পুরী মানেই নৃসিংহ, গাঙ্গুরাম বা কাকাতুয়া র খাজা, রাবরী বা ছানাপোড়া, পুরী মানেই সমুদ্রের ধারে ছোট সিঙ্গারা, মদনমোহন আর এলাচ দেওয়া দুধ চা, পুরী মানেই স্বার্গদ্বার র দোকানে দরদাম, পুরী মানেই কোনো না কোনো পরিচিতের দেখা পাওয়া আর অবশ্যই ভুল ভাবে ওড়িয়া বলার ব্যর্থ প্রচেষ্টা।

আসুন বাঙালির এই নস্টালজিয়াকে আরো একবার অনুভব করি। পরিযায়ী মন ট্রাভেল ক্লাবের উদ্যোগে চলুন ঘুরে আসি আগামী আগস্টে, বর্ষার পুরীর সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে।

যাত্রা শুরু — ১২ ই জুলাই ২০২৫

ঘরে ফেরা— ১৮ ই জুলাই ২০২৫

খরচ:

ডবল শেয়ারিং – ৬০০০ টাকা জনপ্রতি

ত্রিপল শেয়ারিং – ৫৫০০ টাকা জনপ্রতি

# বুকিং এর সময় অগ্রিম ২০০০/- দিতে হবে ৷ এসি ট্রেন টিকিটের ক্ষেত্রে বুকিং এর সময় ৩০০০/- দিতে হবে ৷  অবশিষ্ট টাকার মধ্যে ১০০০/- এপ্রিল মাসের ১০ তারিখের মধ্যে দিতে হবে ৷ বাকি টাকা হোটেলে পৌছে দিতে হবে ৷

কি কি পাবেন :—

————————

১) ট্রেনের টিকিট ৷ এসির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে ৷

২) সমস্ত স্ট্যান্ডার্ড ক্যাটাগরির হোটেল এবং পরিবার অনুযায়ী ঘর ৷ এসি ঘর নিলে অতিরিক্ত ৫০০/- প্রতিদিন     করে দিতে হবে ৷

৩) পুরী স্টেশন – হোটেল – পুরী স্টেশন গাড়ীর খরচ ৷

৪) পুরী পৌছনোর পর থেকে বাঙালি খাবার ৷ সকালে চা ও জলখাবার, বিকালে চা ও টিফিন ৷ দুপুর রাত মাছ, মাংস,ডিম, ডাল,তরকারী সহ ভাত ৷ নিরামিশ পদ চাইলে পাবেন ৷

৫) একদিন শেয়ারিং বাসে ভুবনেশ্বর ও কোনারক ট্যুরের ব্যবস্থা।

৬) জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দেওয়ার ব্যবস্থা এবং কেনাকাটায় নিঃস্বার্থ সাহায্য।

৭) সবচাইতে মূল্যবান জিনিস যেটা পাবেন সেটা হল, আমাদের অভিজ্ঞতা, বিশ্বাস আর ব্যবহার ৷

কি কি পাবেন না:—

——————————

১) মিনারেল ওয়াটার

২) কুলির খরচ

৩) ট্রেনের খাবার।

৪) দর্শনীয় স্থানের এণ্ট্রি ফী

৫) মন্দিরে যাওয়ার ও ঘোরার লোকাল গাড়ির খরচ

৬) ঘোড়ায় বা উটে চাপার খরচ

৭) আর যেটা একদমই পাবেন না সেটা হল চিটিংবাজি ৷

Add a Comment

Your email address will not be published.