ব্যাঙ্গালোর – মহীশূর – উটি – কুন্নুড় 

ট্যুর  কস্ট:

ডবল শেয়ারিং:  ১৮,০০০ টাকা প্রতিজন

ট্রিপল শেয়ারিং:  ১৭,০০০ টাকা প্রতিজন

৫ থেকে ১০ বছরের বাচ্ছাদের ১১০০০ টাকা প্রতিজনযাত্রা শুরু: ২০ নভেম্বর ২০২৫; ২৯ জানুয়ারী ২০২৬

ঘরে ফেরা: ২৮ নভেম্বর ২০২৫; ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৬

ট্যুর বিবরণী:

আমাদের মতন যারা ৯ এর দশকে বেড়ে উঠেছি, আমাদের কাছে শৈশব জুড়ে ছিল বিখ্যাত লেখক আর কে লক্ষ্মণের “মলগুরি ডেজ”। তখন টি ভি তে এত চ্যানেল ছিল না, মোবাইলের গেম ছিল না, ছিল সরল চোখে মালগুরি দেজ র নতুন নতুন গল্প দেখা অথবা “দা সোর্ড অফ টিপু সুলতান” দেখা।

চলুন আরো একবার এই গরমের ছুটিতে ফিরে যাই আমাদের সরল শৈশবে জানা সেই ইতিহাস বা দেখা সেই নীল পর্বতের কোলে। স্বপ্নময় কয়েকটা দিন কাটাতে “*পরিযায়ী মন ট্র্যাভেল ক্লাব*” এর তত্ত্বাবধানে  চলুন ঘুরে আসি ব্যাঙ্গালোর, মহীশূর, উটি, কুন্নুর এবং কয়েম্বাটরের আদি যোগীর আশ্রম থেকে।

সংক্ষিপ্ত ভ্রমনসূচী:

প্রথম দিন: সকলে হাওড়া স্টেশনে মিলিত হয়ে রাত ২২.৫৫ তে 12863 HWH SMVB EXP এ চেপে রওনা হবো ছবির মতন সুন্দর “বাগিচা শহর” ব্যাঙ্গালোরের উদ্যেশ্যে।

দ্বিতীয় দিন: পুরো দিনটাই কাটবে ট্রেনে। ভুবনেশ্বর, ভিশাকাপত্তানাম, নেল্লোর হয়ে ট্রেন যত গন্তব্যের দিকে এগুবে, ততই নতুন নতুন বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হতে থাকবে।

তৃতীয় দিন: ভোর ০৬.৪৫ এ ব্যাঙ্গালোর পৌঁছে আমরা হোটেলে ফ্রেশ হয়ে প্রাতরাশ করে নিয়েই রওনা দেব শহর দর্শনের উদ্যেশ্যে। ইসকন মন্দির, লালবাগ বোটানিক্যাল গার্ডেন এবং টিপু সুলতানের প্যালেস দেখে নেবো আমরা। হোটেলে ফিরে রাত্রিবাস।

চতুর্থ দিন: আজ প্রাতরাশ সেরে আমরা রওনা হবো ১৪৫ কিলোমিটার দূরের ঐতিহাসিক শহর মহীশূরের উদ্দেশ্যে। পথে দেখে নেবো শ্রীরঙ্গাপত্তানাম। মহীশূর হোটেলে পৌঁছে লাঞ্চ সেরে দেখে নেবো বৃন্দাবন গার্ডেন এবং মহীশূর রাজপ্রাসাদের লাইটিং। রাত্রিবাস মহীশূরের হোটেলে।

পঞ্চম দিন: প্রাতরাশ সেরে আজ প্রথমে ঘুরে নেবো চামুণ্ডা মন্দির, মহীশূর প্যালেস এবং ফিলোমিনা চার্চ। পরে বান্দিপুর এবং মুদুমালাই জাতীয় উদ্যানের মধ্যে দিয়ে এবং চা বাগানের মধ্যে দিয়ে সুন্দর রাস্তা বেয়ে পৌঁছে যাবো নীলগিরি পর্বতমালার কোলে সুন্দর সাজানো উটি শহরে। সন্ধ্যায় নিজেদের মতন পায়ে হেঁটে ঘুরে নিন শহরের মার্কেট। রাত্রিবাস উটির হোটেলে।

ষষ্ঠ   দিন: আজ প্রাতরাশের পর একে একে ঘুরে নেবো উটি লেক, ডোদাবেত্তা পিক, বোটানিক্যাল গার্ডেন, রোজ গার্ডেন এবং শুটিং স্পট। রাত্রিবাস উটি হোটেলে।

সপ্তম দিন: প্রাতরাশ সেরে আজ হোটেল থেকে চেক আউট করে, এবং বাসে লাগেজ লোড করে আমরা ঐতিহ্যশালী টয় ট্রেনে চেপে আমরা রওনা দেবো কুন্নুরের উদ্যেশ্যে। ১ ঘণ্টা ১০ মিনিটের এই ট্রেন জার্নি এক কথায় বর্ণনা করা অসম্ভব। অন্যদিকে আমাদের লাগেজ নিয়ে আমাদের বাস সময় মতন পৌঁছে যাবে কুননুর স্টেশনে। পরে কুননুর পৌঁছে ঘুরে নেবো চায়ের বাগান। পরে গাড়ী করে চলে যাবো কয়েম্বাটরের আদি যোগীর আশ্রমে। সেখানে কিছুক্ষন সময় কাটিয়ে আমরা পৌঁছে যাবো কয়েম্বাটর স্টেশন। রাত ২১.৩৫ মিনিটে ২২৬৪০ চেন্নাই সূপারফাস্ট এক্সপ্রেস ধরে চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেব।

অষ্টম দিন: ভোর ০৫.১৫ মিনিটে চেন্নাই স্টেশনে পৌঁছে সকাল ঠিক ০৮.১০ টায় মাদ্রাস সাঁতরাগাছি এসি এক্সপ্রেস ধরে বাড়ীর উদ্যেশ্যে রওনা হব।

নবম দিন: সকাল ১০.২৫ মিনিটে সাঁতরাগাছি পৌঁছে, একে অপরকে বিদায় জানিয়ে, একরাশ সুখস্মৃতি এবং ক্যামেরা বন্দি অসাধারণ কিছু ছবি নিয়ে নিজেদের বাড়ী ফিরে যাবো।

কি কি অন্তর্ভুক্ত :

***

✓ স্লিপের ক্লাস ট্রেন টিকেট এবং টয় ট্রেনের টিকিট ✓ বেড টি , ব্রেকফাস্ট , লাঞ্চ , ইভনিং স্ন্যাকস , ডিনার ( ট্রেন বাদে) ✓ স্ট্যান্ডার্ড হোটেল ✓ টেম্পো ট্রাভেলার ✓ সমস্ত টোল ট্যাক্স, পার্কিং ✓ জি এস টি ✓ অভিজ্ঞ টুর ম্যানেজার

যা অন্তর্ভুক্ত নয় :

**

∆ ট্রেন এ খাবার।

∆ গাইড ও এন্ট্রান্স ফিস।

∆ বোটিং, রোপওয়ে র খরচ

∆ ক্যামেরা চার্জ

∆ কোনো অতিরিক্ত গাড়ী / পনি

∆ কোনো অরিতিক্ত খাবার বা ব্যক্তিগত কোনো খরচ।

# বুকিং এর জন্য অগ্রিম ৫০০০/- প্রতিজন দিতে হবে ৷ পরবর্তীতে জানুয়ারী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে আরো ৫০০০/- প্রতিজন দিতে হবে।  অবশিষ্ট টাকা ব্যাঙ্গালোর পৌঁছে দিতে হবে ৷

Add a Comment

Your email address will not be published.